লালমোহনে গরু চুরির হিড়িকঃ জনমনে আতঙ্ক।।লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে হঠাৎ করেই গরু চুরির হিড়িক পরেছে। চলমান জুন মাসেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ৭টি গরু চুরির সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে চোর কিংবা গরুর কোনও সন্ধান না পাওয়া এবং প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ২০/২৫ দিন আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ফুলবাগিচা গ্রামের শফিউল্লাহ মীরের গরু চুরি হয়। আর গত ৪ জুন (শুক্রবার) একই এলাকার সামছল হক বদ্দারের গরুও চুরি হয়। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই তিনদিন পর ৭জুন (সোমবার) রাতে চুরি হয় পাশ্ববর্তী ৫নং ওয়ার্ডের হেলাল শিকদারের গরু।
লালমোহন বিডিনিউজ ডটকম এর সাথে  আলাপকালে চুরি হওয়া গরুর মালিকরা জানান, চুরি হওয়া প্রতিটি গরু প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৭৫হাজার টাকা মূল্যের। প্রতিদিনই গরু চুরি হচ্ছে, তবে চোর কিংবা গরুর কোনও খোঁজ পাচ্ছিনা। এমতাবস্থায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, একই ইউনিয়নের কালিরটেক এলাকায়ও ৩টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ১৪/১৫ দিন আগে ওই এলাকার মজিবল দালালের ছেলে মোতাছিনের ১টি গরু চুরি হয়। তার সপ্তাহখানেক পরেই সাবেক ইউপি সদস্য খোকন মিয়ার ১টি ও মিন্টু মিয়ার ছেলের ও ১টি ও উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড এলাকার আবদুল মালেকের ও ১টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাজাহান মিয়া লালমোহন বিডিনিউজ ডটকম কে বলেন, গরু চুরিরোধে ইউনিয়নের চৌকিদার দফাদার নিয়ে পরিষদে আলোচনাপূর্বক, চোরচক্র কে আটক ও চুরি বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগেও উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর ঘাটে রাতের আঁধারে গরু পারাপার করতে গিয়ে রিসিটবিহীন দুটি গরু আটকের ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান দেয়া হয়। এখন শুধু গরু চুরিই নয়, সুযোগে বসতঘরও চুরি হচ্ছে। যা রীতিমত আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে অনেকেই এখন চুরির পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারণা তাদের। তবে এসব চুরি বন্ধে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর তাগিদও দিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, গরু চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনও অভিযোগ করেনি। তবুও এসব চুরিরোধে রাতে টহল টিম জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।
লালমোহন থেকে গরু নিয়ে নদী ও স্থলপথে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় নেয়া হয়। তাই এসব রুটে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর দাবি সচেতনমহলের।