লালমোহনে ফিল্মি ষ্টাইলে ছিনতাই আটক -২

সালাম সেন্টু, লালমোহন :ভোলার লালমোহনে ফিল্মি ষ্টাইলে ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয় জনতা মিজান (২২) ও বিল্লাল (২০) নামের দুই ছিনতাইকারীকে গনপিটুনি দিয়ে লালমোহন থানায় সোপর্দ করে ।
জানা যায়, গত ২৬ জুলাই বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকার সংসুদ্দি বাড়ীর মোখলেছ বেপারির ছেলে মো: রাশেদ লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ফরাজীবাজার এলাকায় তার শশুরবাড়ী আজগর বেপারী বাড়ীর বেড়াতে এসে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন ।
রাশেদ জানান, ফরাজগঞ্জের ইউনিয়নের গাইমারা এলাকায় তার শশুর বাড়ি এবং কালমা ইউনিয়নের আজগর বেপারী বাড়ী তার মামা শশুর বাড়ী । সে তার স্ত্রীকে নিয়ে ঈদ উপলক্ষে তার মামা শশুর বাড়ী বেড়াতে আসে ।
মামা শশুর বাড়ীতে কিছুদিন আগে রাতের আধারে চুরির ঘটনা ঘটেছিল তাই তার মামা শশুর রাশেদ কে বলেন তার স্ত্রীর স্বর্নের জিনিষগুলো ফরাজগঞ্জ তার শশুর বাড়ীতে রেখে আসতে ।
গত রোববার রাশেদ ফরাজীবাজার এলাকা থেকে হোন্ডাযোগে স্বর্নের জিনিষগুলো রেখে আসার জন্য ফরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে । পথিমধ্যে হোন্ডা ড্রাইভার মিজান লালমোহন পৌর এলাকার হোন্ডাষ্ট্যান্ডে থেমে চা খাওয়ার কথা বলে হোন্ডা থামিয়ে তার অপর সহযোগী বিল্লালকে ডেকে এনে একসাথে চা খেতে থাকে এবং রাশেদ কে চা খেতে বলে । রাশেদ বারন করলে ও মিজান ও বিল্লালের জোড়াজুড়িতে চা পান করেন এবং হোন্ডায় চেপে বসেন এরপর আর কিছুই তার জানা নেই । রাশেদের ধারনা চায়ের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে খাওযানো হয়েছিল এবং তাকে অচেতন করে তার কাছ থেকে একটি সোনার চেইন, এক জাড়া সোনার ঝুমকা ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় ।
অপরদিকে রবিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ফরাজীবাজার এলাকার রাজ্জাক মেম্বার বাড়ীর সংলগ্ন রাস্তায় অচেততন অবস্থায় পড়ে থাকা রাশেদ কে স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতাল ভর্তি করেন । জ্ঞান ফিরলে রাশেদ ঘটনাটি তার পরিবার কে জানান এবং পরবর্তীতে রাশেদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় জনতা সোমবার সন্ধ্যায় হোন্ডা চালক মিজান ও তার সহযোগী বিল্লাল কে আটক করে গনধোলাই দিয়ে লালমোহন থানায় সোপর্দ করে । ধৃত বিল্লাল স্থানীয় বালুরচর ৬ নং ওয়ার্ড এলাকার হালদার বাড়ীর হাজি আব্দুল আজিজের ছেলে এবং মিজান চরলক্ষী ৮নং ওয়ার্ডের সাখাওয়াত আলী হাং বাড়ীর আ: মন্নানের ছেলে।
লালমোহন থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই কামরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।

অপরদিকে ধৃতরা জানায়, তাঁরা কোনো ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত না। মোবাইল ফোনে তাদেরকে ডেকে নিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায় ফরাজী বাজার এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে । ছিনতাইকারীরা সাধারন মানুষকে চাকু ঠেকিয়ে স্বর্বঃস্ব কেড়ে নেয়। এরা বাইরের কেউ না এলাকারই ছেলে পেলে। রাজনৈতিক পরিচয় অথবা সামাজিক পরিচয়ের কারনে আমরা তাদের কিছু বলতে ও সাহস পাই না।
লালমোহনে হোন্ডার মাধ্যমে অররহ এ সকল ছিনতাই বন্ধে এখনি উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহন করে জনসাধারনের নিশ্চিন্তে চলাচলের সূব্যাবস্থা করবে স্থানীয় প্রশাসন এমনটাই দাবী এলাকাবাসীর ।