ভোলায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল আঃ লতিফ ছিদ্দিকি ও আঃ গাফ্ফার চৌধুরীর ফাঁসির দাবি

ভোলা সংবাদদাতা :: আল্লাহ ৯৯নাম, রাসুল, সাহাবা ও ইসলাম নিয়ে কুটুক্তি করায় আ: লতিফ ছিদ্দিকি ও আ: গাফ্ফার চৌধুরীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ভোলায় বিক্ষাভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা সদর থানা শাখা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কালিনাথ রায়ের বাজার হাটখোলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান শড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার চত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দেলন ভোলা সদর থানার সভাপতি মাও. নুরে আলমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুফতি আ: মুমিনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলার সেক্রেটারী মাও. মিজানুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. তরিকুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাও. ইউছুফ আদনান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ভোলা জেলার সেক্রেটারী মাও. গোলাম মোরশেদ, ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক আবি আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, মহানবী (সঃ), হজ্ব ও তাবলীগ জামাত নিয়ে কটুক্তিকারী, স্ব-ঘোষিত মুরতাদ, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক ডাক ও টেলিঃ মন্ত্রী, আঃ লতিফ সিদ্দিকির দেয়া বক্তব্যে সে মুরতাদ হয়ে গেছে। কারন সে ইসলামের পঞ্চম ভিত্তি হজ্বকে অস্বীকার করাসহ আমাদের প্রিয় নবীর শানে অশালীন মন্তব্য করেছে। আর ইসলাম বলে মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে এর কোন শাস্তির ধারা নাই। যার ফলে এত মস্তবড় শয়তান রমজান মাসেও জেলের বাইরে।
আজ বাংলার মাটিতে লতিফ ছিদ্দিকির বিচার না হওয়ায় মুরতাদ গাফ্ফার চৌধুরী আল্লাহ সম্পকে বাজে মন্তব্য করার সাহস পেয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকার বলতে চাই আমাদের ধৈর্যের একটা সিমা আছে। আপনি তো এশিয়ার মধ্যে ক্ষমতাধর নারী। আপনি তো মুসলমান। আপনার পক্ষ থেকে মুসলিম হিসেবে এদের ব্যাপারে একটু কঠোরতা দেখতে চাই। মনে রাখবেন, দাউদ হায়দার, সালমান রুশদী, তছলিমা নাসরীনেরও কিন্তু এই পূন্যভূমীতে ঠাই হয়নি। এই দুই কুলাঙ্গারেরও এই বাংলায় ঠাই হবে না।
পরে দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।