ভয়াল ২০০১ সাল, লালমোহন-তজুমদ্দিনে কি না ঘটেছে সেদিন!

লালমোহন বিডিনিউজ :
বারবার আমাকে একই প্রসঙ্গ আনতে হচ্ছে। সেই ভয়াল ২০০১ সাল পরবর্তী দিনগুলোর কথা। লালমোহন-তজুমদ্দিনে কি না ঘটেছে সেদিন! দুটি ভয়ার্ত ইতিহাস আমার চোঁখে আজও ভেসে উঠে। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, আর একটি হলো পহেলা অক্টোবর ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি-জামাত জোট কর্তৃক সারা দেশব্যাপী সন্ত্রাসীদের তান্ডবলীলা। যে দুটি কারনে ২০০১ সাল যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের পাতার চির অম্লান হয়ে থাকবে।
ইমাম হোসেন মেম্বার। যিনি লালমোহন উপজেলাধীন ৪নং চরভূতা ইউনিয়ন পরিষদের একজন জনপ্রিয় ইউপি সদস্য ছিলেন। মনে প্রানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে ভালোবাসতেন। এটাই কাল হলো ঐ নরপিশাচদের চোখে। নির্বাচনের পর বিএনপির ঐ সন্ত্রাসীগণ অস্ত্র-সজ্জে সজ্জিত হয়ে তাহার বাড়ী আক্রমণ করেন। ইমাম হোসেন মেম্বারসহ পরিবারের সকলকে বেধড়ক মারধর করে সেই বসত ঘরটি কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেন। আমি কিছুদিন পূর্বে এ ভদ্রলোকের বাসার সামনে ষাটদরুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আধুনিক একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করে তাহার বাসায় যাই। বাসার দৃশ্য দেখে নিজেকে অশ্রু সংবরন করতে পারিনি। সেই কুপের দাগগুলো এখনও বলে বেড়াচ্ছে আমরা আর ২০০১ সাল দেখতে চাইনা। আমরা দেখতে চাইনা সেই বিভীষিকাময় দিনগুলো।
আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:) কে শত্রুরা পাথর মারতে মারতে পাথরের আঘাতের রক্তে তাহার পায়ের জুতো আটকে যায়। এক কষ্ট দিবার পরও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:) মুখে প্রতিশোধ বা হিংসাত্মক কোন বাক্য না নিয়ে বারবার একটি কথাই বললেন “হে আল্লাহ, এদের জ্ঞান দাও, এদের ক্ষমা কর”!
জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কোমল চিত্তের অধিকারী বিধায় সকল ষড়যন্ত্রকারী ও দুর্বৃত্তদের ক্ষমা করে দিলেন। তিনি মনে করেন, ক্ষমাতেই মহৎ গুনের লক্ষন পরিগণিত হয়। যিনি আমার রাজনীতির গুরু, যাহার জন্য নিজের জীবনটাও আমি বিসর্জন দিতে প্রস্তুত সেই মহান নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হয়ে আমিও ওদের ক্ষমা করে দিয়েছি।
কাজেই এই স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিন।

ফেজবুক পোষ্ট থেকে নেয়া…
আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন
সংসদ সদস্য, ভোলা ৩, লালমোহন ও তজুমদ্দিন।