মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে বিশিষ্ট্য ব্যাবসায়ী কালিপদের পুত্র বধুর স্বীকৃতি চায় দ্বীপ্তি
লালমোহনে বিশিষ্ট্য ব্যাবসায়ী কালিপদের পুত্র বধুর স্বীকৃতি চায় দ্বীপ্তি
লালমোহন বিডিনিউজ ,মিজানুর রহমান লিপু : লালমোহনে বিশিষ্ট্য ব্যাবসায়ী কালিপদের পুত্র বধুর স্বীকৃতি চায় দ্বীপ্তি । জানাযায়, লালমোহন পৌরসভার বিশিষ্ট্য চাউল ব্যাবসায়ী উজ্জল ট্রেডার্স এর মালীক বাবু কালিপদ দাসের একমাত্র পুত্র উজ্জল দাস (ঝুলন) ঢাকার গাজিপুরের বাসায় ভাড়া থেকে চাকুরী করত। প্রায় বছর দেড়েক পূর্বে সেখানে পাশ্ববর্তী ভাড়াটিয়া ও গার্মেন্সে কর্মী দীপ্তী রানী দাস নামে এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং প্রেমের ৬ মাসের মধ্যে উজ্জল দ্বীপ্তিকে বিয়ে করে। প্রায় ১বছর স্বামী স্ত্রীর মত একত্রে বসবাস করে। বিয়ের পর পরই দ্বীপ্তির গর্ভে সন্তান আসে । দ্বীপ্তির সন্তান গর্ভের ৪ মাসের সময় উজ্জল সন্তান নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে পানিতে ঔষধ মিশিয়ে দ্বীপ্তির পেটের সন্তান নষ্ট করে দেয় । এরই মধ্যে দ্বীপ্তি উজ্জলের মতলব বুঝতে পারে। দ্বীপ্তি উজ্জলের লালমোহনে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসতে বললে, সে বিভিন্ন অযুহাত দেখায় এবং দ¦ীপ্তিকে বলে বিয়ের ব্যাপার টায় বাবাকে ম্যানেজ করতে কিছুদিন সময় লাগবে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে সে দ্বীপ্তিকে লালমোহনে তার বাবা মায়ের কাছে নিয়ে আসবে। উজ্জলের চলাফেরা ও কথাবার্তায় সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় দ্বীপ্তি তার শ^শুড় বাড়ীর খোজেঁ লালমোহনে চলে আসে। শ^শুড় কালীপদ দাস সংবাদ পেয়ে তার পুত্রবধূকে ঘরে না তুলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র আটতে থাকে এবং নিজের ব্যবসা বানিজ্য ও বাসাবাড়ী ফেলে লুকিয়ে/পালিয়ে থাকে। এদিকে শ^শুড় বাড়ীতে ঠাই না পেয়ে দ্বীপ্তি লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ভাইচ চেয়ারম্যান ফখরুল আলম হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামছুল আরিফ, লালমোহন উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের সভাপতি/ সম্পাদক সহ সকলের কাছে কালিপদ দাসের পুত্রবধুর স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্ঠা করেও কোন কুল কিনারা করতে পারেনি। এব্যাপারে দ্বীপ্তি বলে উজ্জল আমাকে ঢাকা গাজীপুর শিব মন্দিরে ধর্মীয় নিয়মনীতি মেনে বিয়ে করেছে। ঢাকার গাজিপুরে আমার সাথে এক বছর সংসার করেছে। আমার প্রথম সন্তান গর্ভের ৪ মাসের সময় উজ্জল নষ্ঠ করে দিয়েছে। বর্তমানে তার দেড় মাসের সন্তান আমার গর্ভে। আমি নিজের জন্যে না হলেও সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের জন্য লালমোহনে শশুড় বাড়ীতে থাকতে চেয়েছিলাম। আমার শ^শুড় আমাকে বধু হিসেবে ঘরে না তুলে আমার বদনাম সহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে এবং নিজে পালিয়ে থাকে। উজ্জল এতদিন আমার সাথে যোগযোগ রাখলেও বর্তমানে সে তার বাবার কথামত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও কালীপদকের পুত্র উজ্জল এর পূর্বেও তপতী নামে এক মেয়েকে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে। লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ উজ্জলকে ফোনে জানতে চাইলে দ্বীপ্তিকে বিয়ে করার কথা স্বীকার করে এবং তার বাবাকে ম্যানেজ করে দ্বীপ্তিকে ঘরে তুলে দিতে অনুরোধ করেন। অন্যদিকে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দ্বীপ্তিকে পুত্র বধূ হিসেবে ঘরে তুলে নিতে কালিপদকে অনরোধ করেন ।এব্যাপারে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু মনোরঞ্জন চন্দ জয়হিন্দ জানান দীপ্তী দাস পুত্র বধুর স¦ীকৃতি পেতে আমার কাছে আসলে আমি কালীপদ বাবুকে খবর দিলে সে আমার কাছে না আসায় কোন সিগ্ধান্ত দিতে পারি নাই । কোন ফর্রমুলাই কালিপদ তার পুত্রবধুকে ঘরে তুলে নেয়নি। এদিকে দ্বীপ্তি মনিরামে তার বান্ধবীর বাসায় থেকে উজ্জলের বউয়ের স্বীকৃতির জন্য লালমোহন বিভিন্ন স্তরের মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে।
উজ্জল ও কালীপদ দাসকে ফোনে ,দোকানে,বাড়ীতে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি ।