সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » সীমানা নিদ্ধারনী মামলার জটিলতায় হচ্ছে না লালমোহন সহ ৩০ পৌরসভা নির্বাচন
সীমানা নিদ্ধারনী মামলার জটিলতায় হচ্ছে না লালমোহন সহ ৩০ পৌরসভা নির্বাচন
লালমোহন বিডিনিউজ : হাইকোর্টে মামলা নিষ্পন্ন না হওয়ায় ও পৌরসভার এলাকা সম্প্রসারণ-ওয়ার্ডবিভক্তিকরণ কার্যক্রম চলমান থাকায় ৩০টি পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারছে না ইসি (নির্বাচন কমিশন)। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ইসিতে পাঠানো পৌরসভার তালিকা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৩০টি পৌরসভাকে নির্বাচন অনুপযোগী উল্লেখ করে ইসিতে পাঠানো তালিকায় বলা হয়েছে, ‘মহামান্য হাইকোর্টে মামলা অনিষ্পন্ন থাকায় এবং পৌরসভার এলাকা সম্প্রসারণ ও ওয়ার্ডবিভক্তিকরণ কার্যক্রম চলমান থাকার কারণে নির্বাচন অনুপযোগী পৌরসভার তালিকা।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন অনুপযোগী পৌরসভাগুলো হল- ঢাকার জেলার দোহার পৌরসভা, রংপুরের পীর গঞ্জ, নীলফামারীর নীলফামারী, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও বোদা, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ ও বিরল, রাজশাহীর বাঘা, নাটোরের বনপাড়া ও বাগাতিপাড়া, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, পাবনার বেড়া ও বেনাপোল, যশোরের ঝিকরগাছা, ঝিনাইদহের ঝিনাইদহ, পটুয়াখালীর পটুয়াখালী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার লালমোহন, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, নরসিংদীর শিবপুর, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট, হবিগঞ্জের আজমীরিগঞ্জ, সিলেটের বিয়ানবাজার, কুমিল্লার দেবিদ্বার, চাঁদপুরের নারায়নপুর এবং চট্রগ্রামের হাটহাজারী ও নাজিরহাট পৌরসভা।
এগুলোর মধ্যে পাবনার বেড়া পৌরসভায় ১৯৯৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ও ঢাকার দোহার পৌরসভায় ২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসব পৌরসভায় নির্বাচন না হওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব মো. রাজীব আহসান বলেন, যেহেতু পৌরসভা নির্বাচন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে হয়ে থাকে। তাই এগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা ঠিক করে দিলে কমিশন নির্বাচন করে দেবে। এসব পৌরসভায় যেসকল সমস্যা রয়েছে সেগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কেই ঠিক করে দিতে হবে।
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এ বলা আছে, পৌরসভা গঠনের পর প্রথমসভার তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছর পর্যন্ত ওই পৌরসভার মেয়াদ থাকবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনে উল্লেখ রয়েছে, পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে, ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে মেয়রদের পদত্যাগ করতে হবে।
গত বছর ১৭ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সারা দেশের পৌরসভাগুলোর আলাদা তালিকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভার তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। সর্বশেষ নির্বাচনের তারিখ, প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ ও মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ দিয়ে ৩২৩টি পৌরসভার তালিকা দেয় সরকার। এরমধ্যে ২০১১ সালে জানুয়ারিতে ২৪০টি পৌরসভার ভোট হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ব্যাপক অনিয়ম ও সহিংসতায় মধ্য দিয়ে দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোট হয়। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরের শাহরাস্তি ও ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভায় নির্বাচন করবে ইসি। এছাড়া আরো নয়টি (রংপুরের হারাগাছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, ঝালকাঠী সদর, নোয়াখালীর কবিরহাট, কুমিল্লার নাংগলকোট, ফরিদপুরের ভাংগা, কক্সবাজারের চকরিয়া, মহেশখালী ও ফেনীর সোনাগাজী) পৌরসভায় নির্বাচনের জন্য এ সপ্তাহের যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন।