রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে নারীদেরকে দিয়ে জমি ও পুকুর দখল চেষ্টার অভিযোগ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে নারীদেরকে দিয়ে জমি ও পুকুর দখল চেষ্টার অভিযোগ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : ভোলার লালমোহনে নারী সদস্যদের দিয়ে জমি ও পুকুর দখল চেষ্টা করার ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মো. ওমর সিরাজী নামে একজন। মো. ওমর সিরাজী লালমোহন ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড পেশকার হাওলা খান সাহেবের বাড়ির আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে।
সাংবাদিকদের কাছে করা লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওমর সিরাজী তার বাড়ির সামনে বড় পুকুরটি সৃষ্টির পর থেকে তাদের পরিবারগণ দীর্ঘ প্রায় ৮০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে। ওমর সিরাজী পুকুরের অংশীদারদের থেকে দীর্ঘ ৬ বছর যাবত লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। ওই পুকুরটি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে মো. নুরুল আমিন ও দত্তক ছেলে মো. নুরুল হক গংরা চেষ্টা করে আসছে। তারা এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে ২০০৩ সালে সালিশদের মাধ্যমে তাদের জমি তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। বাড়ীর পিছনের পুকুরটি তারা ভোগদখল করছেন। ২০০৯ সালে তারা জোর করে তাদের নিজস্ব জমি ছাড়া অতিরিক্ত জমি ভোগ দখল করা শুরু করে এবং তারা আবার পুকুর দখল করার চেষ্টা করে, তখন এ ব্যাপারে লালমোহন থানায় বৈঠকে বসা হলে খানার ওসি তাদেরকে ওই পুকুরে আসতে নিষেধ করে দেন। গত ১ বছর পূর্বে তারা জোর করে পুকুরে মাছ ধরতে যায় এবং অতর্কিত হামলা করে আমাদেরকে আহত করে। তখন আমরা ফৌজদারী মামলা করলে নুরুল হকের ছেলে আয়ুব আলী হাজত বাস করে। মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে।
এরপর গত ২১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ সকালে পুকুরে ওমর সিরাজী মাছ ধরতে গেলে নুরুল আমিনের স্ত্রী খায়রুন বিবিসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য নারীরা একত্রিত হয়ে ওমর সিরাজীকে বাধা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রনিয়ে হত্যার হুমকি প্রদনি করে। যার একটি ভিডিও সাংবাদিকদের কাছে প্রদান করেন তিনি। বর্তমানে নুরুল হকের স্ত্রী, মেয়ে, নাতীসহ এই চক্রটি এলাকায় ভূমি দখলে ভাড়ায় মানুষের পক্ষে কাজ করে। এলাকার অনেক মানুষ এদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে মান সম্মনের ভয়ে জনসম্মুখে আসছেনা।
ওমর সিরাজী আরো বলেন, ওই নারীদের ভয়ে বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এই ভূমিদস্যুরা কোনো আইন কানুন মানে না। আমি এই চক্র থেকে বাঁচতে প্রশাসন ও সহকের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নুরুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওমর সিরাজী ওই পুকুরের কিছুই না। সে জোর করে খাচ্ছে। আমি ওই পুকুরের মালিক। এজন্য আমরা ওই পুকুর ব্যবহার করছি।