সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বোরহানউদ্দিন | ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার বোরহানউদ্দিনের আনন্দ স্কুলে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।।লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলার বোরহানউদ্দিনের আনন্দ স্কুলে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,জুয়েল সাহা ভোলা : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে অধিকাংশ আনন্দ স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। কোথাও কোথাও গরুঘরকে আনন্দ স্কুল দেখানোর অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি উপবৃত্তির টাকা বিতরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে রেখে দেয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইুউনিয়নের চকডোষ গ্রামের শরীফ বাড়ি আনন্দ স্কুলের অভিভাবক মোঃ জাহাঙ্গীর, আবু তাহের, মমিন অভিযোগ করেন, ১ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ৫ম শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১৭২০ টাকা করে প্রদান করেন। এ সময় স্কুলের শিক্ষিকা কুলসুম বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরো টাকা নিয়ে নেয়। পরে এলাকাবাসী চাপ দিলে প্রত্যেককে ৭২০ টাকা করে ফেরত দেয়। অবশিষ্ট ১ হাজার টাকা বিভিন্ন খরচের কথা বলে ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। ওই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মালা, রাশেদা, শাজাহান জানান, উপবৃত্তি টাকার দেওয়ার আগে আমাগো ম্যাডাম ও তার স্বামী বলে টাকা হাতে পাইয়া বইসা থাকতে। টাকা দেওয়া হলে খাবার দেওয়া হবে। তাই টাকা পাইয়া বইসা ছিলাম। তখন ম্যাডামের স্বামী আমাগো হাতের থেকে টাকা নিয়ে যায়। আমরা না দিতে চাইলে কয় তোগো বাড়িতে পৌছাইয়া দিবো এ কথা বলে টাকা নিয়ে যায়।
এদিকে নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী শরীফ বাড়ি আনন্দ স্কুলে নামে সকল বই, খাতাসহ বিভিন্ন কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের না দিয়ে বাজারে বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও ওই স্কুলে ঘরে গরুর খামার। ওই ঘরে গরু রাখা হয়। ওই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের কোন ক্লাস হয় না। তিনি আরো জানান, শুধু শরীফ বাড়ি আনন্দ স্কুল নয় কাচিয়া ইউনিয়নের সব কয়েকটি স্কুলে চলে এ ধরনের দুর্নীতি।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত শিক্ষিকা কুলসুম বেগম সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে সটকে পড়েন। তবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেয়ার কথা স্বীকার করে কুলসুমের স্বামী জাহাঙ্গীর সাংবাদিকের জানান, বেলায়েত স্যারের অনুমতি নিয়েই ওই টাকা নেয়া হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা টেনিং কর্ডিনেটাল মোঃ বেলায়াত হোসনে জানান, উপবৃত্তির টাকা থেকে ১ হাজার টাকা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষিকারা নিয়েছে বলে এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি জরিত শিক্ষিকাদের সাথে কথা বলেছি তারাও স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান, শিক্ষিকারা ওই টাকা ,ফরম ফিলাপ, পরীক্ষার ফি, পরীক্ষার সময় যাতায়াত ভাড়া বাবত নিয়েছেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আঃ কুদ্দুস জানান, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।