চরফ্যাশনের আসলামপুরে কে হবেন নৌকার মাঝি || লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, চরফ্যাশন প্রতিনিধি॥ মামলার জটিলতা দীর্ঘদিন ধরে আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে নির্বাচনী গরম হাওয়া বইছে। আসলামপুর দু’ নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ন সম্পাদক আবুল কাশেম মিলিটারী,স্থানীয় আসলামপুর আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরে আলমের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। দান অনুদান,নেতাকর্মীদের খোঁজ নেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে।পদসভা কিংবা,কর্মীসভা, ওয়াজ মাহফিলে কেউ কারো সমস্যা ত্রুটি নিয়ে কথা না বললেও সমর্থকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যার যার সমর্থক তার তার ছবি দিয়ে দোষত্রুটি তুলে ব্যাপক ভাইরাল করছে।
আমিনুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন “সীমানা বিরোধ মামলার নিস্পত্তি না হলেও বইছে আসলামপুর ইউপি নির্বাচনের গরম হাওয়া। খেলা হবে ত্যাগী বনাম হাইব্রিড। নাম প্রকাশে জনৈক নেতারা বলেন, তাফসির মাহফিল নয় মসজিদ মাদ্রাসায় দান অনুদানে নুরে আলমের চেয়ে কাশেম মিলিটারী রয়েছে এগিয়ে। তাই নুরে আলম মাষ্টারের বাড়ি দরজা কওমী মাদ্রাসার মাহফিলে কাশেম মিলিটারী প্রধান অতিথি হয়ে উক্ত মাহফিলে ৪০হাজার টাকা অনুদান দেয়। গত ২০জানুয়ারী মজিদ দালাল বাড়ির দরজা কওমী মাদ্রাসার মাহফিলে কাশেম মিলিটারী ৪০হাজার টাকা অনুদান দেয়। অনুদান এবং বুকবরা ভালবাসা আসলামপুুরের মানুষকে পাগল করে ফেলছে কাশেম মিলিটারী। অপরদিকে নুরে আলমও জনগনের খোঁজ-খবর নিতে দৌড়িয়ে ছুটছে। তবে কে পাবে নৌকা? এই নিয়ে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্ত থাকলেও নুরে আলম নৌকা পাওয়ার আশাবাদী থাকলে ও কাশেম মিলিটারী ফেসবুকে একশত পারসেন্ট নিশ্চিত হয়ে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। জনগনের মধ্যেও নতুন পুরানো আওয়ামী লীগ নিয়ে দু’ নেতার আলোচনা ও সমালোচনা জড় বইছে।
নুরে আলম মাস্টারের সমর্থক ছাত্রলীগ সিনিয়র সহসভাপতি মিজানুর রহমান তার ফেসবুক আইডিতে লিখছেন নুরে আলম মাষ্টার আসলামপুরের সাধারণ মানুষের বিপদে আপদের চাবিকাঠি, দুই দুই বারের সফল সভাপতি নুরে আলম মাষ্টারের বিজয় হবে।
মাকসুদ রানা লিখেছেন, সৎ দক্ষ সংগঠক হিসেবে নুরে আলম মাষ্টার পিট। তার মত যোগ্য লোককে নৌকা দিবে ্এই আসনের এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলমা জ্যাকব।
কাশেম মিলিটারীর সমর্থক আসলামপুর সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আব্বাছ উদ্দিন তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, আমরা দলের ত্যাগী পরিশ্রমি নেতার পেছনে রাজনীতি করি। যাকে আমাদের এমপি মহাদয় কোন চাকুরী দেয়নি, আসলামপুরের কোন পদে রাখেনি। শুধু মাত্র আসলামপুরের ইউপি নির্বাচনে নমিনেশন(নৌকা) দিবে বলে আমাদের নেতা তাকে সকল কাজ থেকে বিরত রাখছেন। যে কাশেম মিলিটারীর সাথে প্রতিযোগিতা করছে সে যোগ্য না হাওয়া সত্বেও তাকে সভাপতির আসনে রাখছে।যেন সে সেটা নিয়ে সন্তুষ্টি থাকে। এক লোককে চাকুরি, বিকফিল্ড, কাজ দিবে না। আমাদের নেতার সবাই দরকার! তাই একশ পারসেন্ট নিশ্চিত কাশেম মিলিটারীকে নৌকার নমিনেশন দেব দল কিংবা আমাদের নেতা আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহাদয়।
সাধারণ মানুষ বলছে, ২০১১সালে কাশেম মিলিটারী অল্প কয়েক ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছে। তখন তো নুরে আলম তার(কাশেম মিলিটারীর) নির্বাচন করেছে। মানবিক দৃষ্টিতে কাশেম মিলিটারীকে সমর্থন দিতে হয়। বর্তমান সময়ে পদসভা, কর্মী সভা করে মাঠ গরম করে রেখেছে আবুল কাশেম মিলিটারী।
নির্বাচন প্রসঙ্গে নুরে আলম মাষ্টার বলেন,সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহাদয় আমাকে নমিনেশন দিবে। আমি আসলামপুরের মানুষের বিপদে আপদে পাশে আছি থাকবো।
সাম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী কাশেম মিলিটারী বলেন,২০১১সালের অল্প কয়েক ভোটের হেরেও মানুষকে ছেড়ে যাইনি। আমার প্রতিদ্বন্ধী নুরে আলম আমার কর্মী হয়ে আমার নির্বাচন করেছে। আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছে। আমি বিপদে আপদে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। আল্লাহর হুকুম মোতাবেক আমাদের সংসদ সদস্য আলহাজ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব মহাদয় আসলামপুরের নির্বাচনের জন্য আমাকে নমিনেশন দিবে ইনসাল্লাহ।